কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে রাসেল ভাইপার প্রজাতির একটি বিষধর সাপ। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই বিষধর সাপটি ধরা পড়ে। জানতে পেরে সাপটি জব্দ
করে স্থানীয় বনবিভাগ। পরে বিলুপ্ত প্রজাতির রাসেল ভাইপার অবমুক্ত করা হয় গড়াই নদীর রেল ও সড়ক সেতু এলাকায়।
অবমুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।
জানা যায়, জেলে মো. শামিম হোসেন পদ্মা নদীতে দোয়াড় জাল পেতে মাছ ধরেন। আজও পাতেন সেই জাল। তবে পাতা জাল তুলে একটি অন্যরকম সাপ দেখতে পান তিনি। প্রথমে তিনি এটিকে অজগর মনে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বনবিভাগের লোকজন এসে সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
এদিকে গড়াই নদীতে বিষধর রাসেল ভাইপার অবমুক্ত করায় চিন্তিত নদীপাড়ের বাসিন্দারা। কুমারখালী উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন, পদ্মা থেকে এনে গড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হলো? গড়াই নদীপাড়ে লোকালয় বেশি। এটা দায়সারা কাজ হয়েছে। অনেক দূরে কোথাও ফাঁকা স্থানে অবমুক্ত করলে ভাল হতো।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য বিলপ্তপ্রায় এই সাপ যেমন টিকিয়ে রাখা দরকার, তেমনি মানুষের নিরাপত্তার কথাও চিন্তিা করা দরকার।
এর আগেও পদ্মা-গড়াই নদী থেকে বেশ কয়েকটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়ে। সেগুলো নদীর দুর্গম চরে অবমুক্ত করা হয়।
রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই বিষাক্ত। সাপটি বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। দেশে সেসব সাপ দেখা যায়, তাদের মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত।
কুষ্টিয়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ধারনা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে দেশে এসেছে। জব্দ করার পর গড়াই নদে অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদী বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বনবিভাগের। তাঁরাই ভাল বলতে পারবে।